ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পাননি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় কবলিত হাজারো মানুষ। ঝড়ে ঘর-বাড়ি ও সহায় সম্বল হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’২৯ মে ভোরে বঙ্গোপসাগরের উপকূল অতিক্রম করার সময় বিধ্বস্ত করে দেয় টেকনাফবাসীকে। এতে সবচে’ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ও দক্ষিণে ভূখণ্ড শাহপরীরদ্বীপ।
এছাড়া ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় টেকনাফের ৫ হাজারেরও বেশি কাচা-পাকা ঘরবাড়ি। উপড়ে পড়ে অগণিত গাছপালা, ব্যাপক ক্ষতি হয় পানের বরজ ও চিংড়ি ঘেরের। এ অবস্থায় সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন হাজারো টেকনাফবাসী।
কিন্তু ‘মোরা’র আঘাতের চারদিন পেরিয়ে গেলেও সরকারি-বেসরকারি পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছেন না ঘূর্ণিঝড় কবলিতরা। ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হচ্ছে অনেককেই।
তবে নৌ বাহিনী সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে চিকিৎসা সেবা দিলেও তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যান্য ইউনিয়নের লোকজন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন ছিদ্দিক দাবি করেন, ক্ষতিগ্রস্তদের কাজে নগদ টাকা ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে লবণ উৎপাদন মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কক্সবাজারে প্রায় ৫০ হাজার লবণ চাষি। মোরার কবলে পড়ে মাঠে থাকা ২০ হাজার টন লবণ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তিনশ’ কোটি টাকার ওপর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন লবণ ব্যবসায়ী ও চাষিরা।
কক্সবাজার-৪, উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আব্দু রহমান বদি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের খুব দ্রুত সহযোগীতা দেয়া হবে।
দেশের সম্ভাবনাময় লবণ শিল্পকে রক্ষায় আর্থিক সহযোগিতাসহ ঘূর্ণিঝড় কবলিতদের দ্রুত ত্রাণ ও পুণর্বাসন দেবার দাবী জানান স্থানীয়রা।
আরকে/এমকে